শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
সামরিক আদালতে যাদবের সাজা

পাকিস্তানকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেয়নি ভারত

প্রতিদিন ডেস্ক

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ সুধীর যাদবের প্রাণবধের পাকিস্তানি চেষ্টা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে ভারত। দেশটি পাকিস্তানকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেয়নি। ভারত আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ায় যাদবের মৃত্যুদ- কার্যকর করা সম্ভব হলো না। বেলুচিস্তানে যে অস্থিরতা ও গোলযোগ মাঝেমধ্যে দেখা যায়, পর্যবেক্ষকদের মতে সেজন্য ভারতকে দোষারোপ করার মতলবে যাদবের ঘটনাটি পাকিস্তান সাজিয়েছে। নয়াদিল্লি শুরু থেকে বলে আসছে যে, সশস্ত্র কয়েকটি গ্রুপ যাদবকে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ইরান সীমান্তে সমস্যার মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। সে ইরানের বিরুদ্ধে জইশ আল আদল নামের সশস্ত্র গ্রুপকে খাড়া করেছে। ইরানি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন অনেকবার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর সম্প্রতি বলেছে, ‘জইশ আল আদল’ হচ্ছে ‘জুন্দুল্লাহ’র ফ্রন্ট। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস আয়োজনে জুন্দুল্লাহ বিশেষায়িত একটি সংগঠন।

কুলভূষণ যাদবের বিচার হয় সামরিক আদালতে। বাদীপক্ষ বলে, যাদব স্বীকার করেছেন তিনি গুপ্তচর। আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়। বেসামরিক বিদেশি নাগরিক যাদবের বিচার সামরিক আদালতে করাটা যে ১৯৬৩ সালে কনসুলার সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশনের জঘন্য লঙ্ঘন, সে কথাটি তথ্য-প্রমাণসহ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে উত্থাপন করে নয়াদিল্লি। ভারত ওই মামলা করে ২০১৭ সালের ৮ মে। আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের প্রদর্শিত যুক্তিগুলোর মধ্যে ছিল (ক) ভিয়েনা কনভেনশনে আছে, গ্রেফতারের তথ্য ‘অবিলম্বে’ সংশ্লিষ্ট দেশকে জানাতে হবে। যাদবকে আটক করা হয় ২০১৬ সালের ৩ মার্চ। আর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সেই সংবাদটি ভারতীয় হাইকমিশনারকে দেন ২৫ মার্চ ২০১৬। সংবাদটি জানাতে কেন তিন সপ্তাহ লাগল, সেই ব্যাখ্যা পাকিস্তান দিল না। (খ) আটক অবস্থায় যাদবের মুখ থেকে স্বীকারোক্তি বের করা হয়েছে এবং সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালতে প্রহসনমূলক বিচার করা হয়েছে। (গ) বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল ‘বিদেশি নাগরিকের ন্যায়সঙ্গত অধিকার’-এর পরিপন্থী। যাদবকে আইনের আওতায় নেওয়ার বা নিজ দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর