শিরোনাম
শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

মুগডাল রপ্তানি করছে বাংলাদেশ

রুহুল আমিন রাসেল

মুগডাল রপ্তানিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের মুগডাল উৎপাদন করছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরা। বড় দানার উন্নতমানের এই মুগডাল রপ্তানি হচ্ছে জাপানসহ বিশ্বের উন্নত দেশে। জাপানিদের প্রিয় খাবার স্প্রাউট স্যুপ তৈরি হয় এই মুগডালে। বিশ্ববাজারে এমন চাহিদা থাকায় এবার ব্যাপক আকারে বড় দানার মুগডাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি বড় দানার মুগডাল রপ্তানির অনুমোদন সংক্রান্ত একটি পত্র প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দফতরে প্রেরণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাজনীন পারভীন স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়, গ্লোবাল এগ্রো রিসোর্স ইনকরপোরেশনকে রপ্তানি নীতি ২০১৮-১৯’র আলোকে ৫০০ টন বড় দানার মুগডাল রপ্তানির অনুমতি প্রদান করা হলো। এই মুগডালের আকার হবে সাড় ৩ মিলিমিটার বা তার বড়। ওইপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলীতে বলা হয়, এক. বড় দানার ৫০০ টন মুগডাল রপ্তানিতে রপ্তানি নীতি ২০১৮-১৯ অনুসরণ করতে হবে। দুই. শুল্ক কর্তৃপক্ষের কায়িক পরীক্ষার সুবিধার্থে রপ্তানিযোগ্য বড় দানার মুগডাল ট্রান্সপারেন্ট প্যাকেটে প্যাকেটজাত করতে হবে।তিন. রপ্তানি হওয়া মুগডাল জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সব কাগজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখায় দাখিল করতে হবে। চার. বড় দানার মুগডাল রপ্তানি অনুমোদনের এই মেয়াদ আগামী ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই অনুমোদনে পত্র প্রেরণ করা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর, রপ্তানি উন্নয়ন বুরে‌্যা- ইপিবি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, ঢাকা ও আইসিডি কাস্টমস হাউস এবং গ্লোবাল এগ্রো রিসোর্স ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। জানা গেছে, জাপানিরা মুগডাল অঙ্কুরিত করে মুগাংকুর তৈরি করে। মুগাংকুর সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। মুগাংকুর জাপানে খুব জনপ্রিয় খাবার। আবার জাপানিদের জনপ্রিয় খাবার স্প্রাউট স্যুপ তৈরি হয় মুগডালে। আর এ মুগডাল রপ্তানি হয় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও যশোর থেকে। তবে দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৭৫ ভাগ মুগডালই উৎপাদিত হয় পটুয়াখালীতে। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল- ইফাদের অর্থায়নে রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন বা আরআরএফ রপ্তানির জন্য কৃষকদের উন্নতমানের মুগডাল চাষে সহায়তা দিচ্ছে। ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও যশোর জেলার ১০ উপজেলায় ১০ হাজার কৃষক মুগডাল চাষ করেছেন। এই মুগডাল চাষে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। লাইন করে বীজ বপন ও চাষে বায়ো ফার্টিলাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর