শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ বঙ্গোপসাগরে

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ বঙ্গোপসাগরে

বঙ্গোপসাগরে এখন জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর ২৪ জুলাই সকাল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে-ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদারদের মুখে হাসি ফুটেছে। ইলিশ বোঝাই ট্রলারগুলো আসতে শুরু করেছে বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজারে। এতে কেবি বাজারের জেলে, আড়তদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলে পরিবারগুলোতে বইছে আনন্দের বন্যা। গতকাল কেবি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত দুদিনে সাগর থেকে ইলিশ বোঝাই করে ফিরেছে প্রায় ২০টি ফিশিং ট্রলার। এসব ট্রলার দাড়াটানা নদীর ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। এখন ইলিশের পর্যাপ্ত সরবারহ থাকায় দাম কমে গেছে। কেবি  বাজারে ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা ৯০০ টাকা করে। এছাড়া এক কেজি বা তার ঊর্ধ্ব সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।  কেবি ঘাটে এফবি ফিশিং ট্রলারের জেলে রফিক হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ভালোই ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ বিক্রেতা সোলায়মান আলী বলেন, বাজারে ইলিশের সরবারহ ভালো। আগামী সপ্তাহে ইলিশের দাম আরও কমে যাবে। বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আলহাজ আবেদ আলী জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ২৪ জুলাই ভোরে সমুদ্রে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ আহরণ শুরু করে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করেছে, অবশেষে জেলেদের জালে মাছ পড়তে শুরু করছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. খালেদ কনক বলেন, বঙ্গোসাগরে মৎস্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার সুফল জেলেরা পেতে শুরু করেছে।

এখন জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে।

সর্বশেষ খবর