বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্যায় বেড়েছে দুর্ভোগ

প্রতিদিন ডেস্ক

বন্যায় বেড়েছে দুর্ভোগ

বন্যার পানি নামার পর বেরিয়ে আসছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

বন্যার উন্নতি হলেও দুর্গত এলাকাগুলোতে জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। বিশেষ করে রোগ এবং পুনর্বাসন সমস্যা বড় আকার ধারণ করেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ-

বগুড়া : সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সারিয়াকান্দির পূর্বাঞ্চলের চরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দীর্ঘ ২০ দিন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বাড়িঘর নষ্ট হওয়ায় মানুষ বাড়িতে ফিরতে পারছে না। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে বন্যাজনিত কারণে জেলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় তিনটি উপজেলা গাবতলী, শাজাহানপুর ও শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, গতকাল বিকালে সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি যতই নিচে নামছে ততই বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চি?হ্ন ফুটে উঠছে। বাঙালি নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার অন্য তিনটি উপজেলা গাবতলী, শাজাহানপুর ও শেরপুরের ৯৬৯ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ৬ উপজেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ হাজার ৫৫২টি পুকুরের ১ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার মূল্য ২৬ কোটি টাকা। ১৭৬টি প্রাথমিক স্কুল, ৪৩টি মাধ্যমিক স্কুল, ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩টি মাদ্রাসা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ সব অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে আছে। লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে বন্যায় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পানি নেমে গেলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে নানা পানিবাহিত রোগ। এরই মধ্যে গত ১৫ দিনে  হাজারেরও বেশি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগী জেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে। রোগে আক্রান্ত অনেকেই বলেন, ভাতই পেটে জুটছে না, চিকিৎসা করব কী দিয়ে। কুলাঘাটে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া রোজিনা বেওয়া (৭০), মনির মিয়া (৬৭), রাজিবন বেওয়াসহ (৫৮) কয়েকজন জানান, তারা গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত হলেও কোনো চিকিৎসকের দেখা পাননি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চাল কেনার টাকা নেই, দিনে এক বেলা খাবারই জুটছে না, ওষুধ কিনব কী করে।’ গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি গত কয়েকদিন থেকে কমে বিপদসীমার নিচে চলে যাওয়ায় লোকালয় থেকে পানি সরে গে ছে। ফলে বন্যায় বিভিন্ন বাঁধ, উঁচু রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের ৬০ হাজার বানভাসি মানুষের বেশির ভাগ অংশ বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর তৈরি করতে তারা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর