বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

সেপটিক ট্যাংকে নেমে একে একে প্রাণ হারালেন ছয়জন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ছয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর হিন্দুপাড়া গ্রামে নিখিল কুমারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেপটিক ট্যাংকের শাটারিং খুলতে নেমে ছয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন বাড়িওয়ালা নিখিলচন্দ্র দাসের ছেলে প্রিতম চন্দ্র দাস (২০), তার চাচাতো ভাই ভুট্টু চন্দ্র দাস (৪০), বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গণিপুর গ্রামের সামছুল আকন্দর ছেলে রাজমিন্ত্রি শাহিন হোসেন (৩৫), রেজাউল করিমের ছেলে শ্রমিক সজল হোসেন (১৫), শাফি আলমের ছেলে শ্রমিক শিহাব হোসেন (১৮) ও খলিশ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মুকুল হোসেন (৩৫)। জানা গেছে, নিখিল চন্দ্র বাড়িতে নতুন একটি পাকা টয়লেট নির্মাণ করছেন। কয়েক দিন আগে মিস্ত্রিরা ওই টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই করেন। গতকাল শাটারিং খুলতে গিয়ে প্রথমে মিস্ত্রির একজন সহকারী ট্যাংকের ঢাকনা খুলে নিচে নেমে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিটেও তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রধান মিস্ত্রি ট্যাংকে নামেন। তিনি ট্যাংকের ভিতর পানিতে পড়ে থাকতে দেখেন সহকারীকে। তবে তিনি সহকারীকে উদ্ধার করতে পারেননি। নিজেও ঢলে পড়েন। তাকে উদ্ধার করতে নেমে তৃতীয় ব্যক্তিও ট্যাংক থেকে উঠে আসতে পারেননি। এরপর আরও চারজন নামেন। এর মধ্যে মাত্র একজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ছয়জন ট্যাংকের ভিতর মারা যান। খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে ছয়জনকে মৃত এবং একজন অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিসের দলটি পরে ট্যাংকের ভিতরে থাকা পানি অপসারণ করে।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকটিতে মোট সাতজন নেমেছিলেন। ট্যাংকের মুখ এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকায় ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস জমে। ভিতরে ঢোকার আগে ট্যাংকের ঢাকনা দীর্ঘ সময় ধরে খুলে রাখা উচিত ছিল। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর