আল- কায়েদার নিহত নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন মারা গেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমনটাই বিশ্বাস করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গত বুধবার পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তাও এমনটি জানিয়েছেন। রয়টার্স, বিবিসি।

খবরে বলা হয়েছে, বেনামি সূত্রগুলোর তথ্য নিয়ে করা প্রতিবেদনগুলোতে হামজা কবে, কোথায় নিহত হয়েছেন তা পরিষ্কার হয়নি। এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদনগুলো এনবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমস করেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে অভিযানে হামজার মৃত্যু হয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভূমিকা ছিল। গত দুই বছরের মধ্যে ওই অভিযানটি চালানো হয় বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের তথ্যানুযায়ী, ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার আগে হামজা আফগানিস্তানে তার বাবার পাশেই ছিলেন। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রেও নেতৃত্বে আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানো হলে বিন লাদেনসহ আল কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে হামজাও পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তানে ২০১১ সালে মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওই সময় হামজা ইরানে গৃহবন্দী ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ওসামা যে বাড়িতে নিহত হন সেখান থেকে পাওয়া নথিপত্র থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ওসামার সহযোগীরা তার ছেলেকে তার বাবার কাছে নিয়ে আসার চেষ্টায় ছিল। অন্যান্য প্রতিবেদনে তার আফগানিস্তানে, পাকিস্তানে ও সিরিয়ায় অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জঙ্গিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন হামজা। বিদ্রোহ করার জন্য আরব উপদ্বীপের বাসিন্দাদেরও ডাক দিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছর মার্চে সৌদি আরব তার নাগরিকত্ব বাতিল করে।

 তাকে আল কায়েদার অন্যতম প্রধান নেতা অভিহিত করে ফেব্রুয়ারিতে তাকে ‘শনাক্ত করা অথবা যে কোনো দেশে তার অবস্থান’ বিষয়ে তথ্য দিতে পারলে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।