শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

নতুন রপ্তানি টার্গেট ৪ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

চলতি অর্থবছরে প্রায় ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি টার্গেট ধরা হতে পারে। গত অর্থ বছরের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে প্রাথমিকভাবে এই লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এটি চূড়ান্ত হলে স্থানীয় মুদ্রায় নতুন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার আকার দাঁড়াবে ৪ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের ওপর ভিত্তি করেই ইপিবি ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে প্রাথমিকভাবে চলতি অর্থবছরের জন্য রপ্তানির টার্গেট ঠিক করেছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রায় পণ্য খাতে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ৮ বিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি আয় আশা করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ৭ আগস্ট রপ্তানির নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শির সভাপতিত্বে ইপিবির প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে ইপিবির প্রাথমিক প্রস্তাবে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা গেছে।  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের টার্গেট রয়েছে আমাদের। সেটি অর্জন করতে হলে ইপিবি এবার যে টার্গেট দিতে যাচ্ছে সেটি বেশি বলা যাবে না। আমাদের রপ্তানি লক্ষ্য আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হবে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি আয়ের টার্গেট ধরা হয়েছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছর শেষে এখন হিসাব করে দেখা গেছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোট রপ্তানি আয় (পণ্য ও সেবা) ৪৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয়ের এই রেকর্ড নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, যেভাবে রপ্তানি আয় বাড়ছে, তাতে ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের যে টার্গেট রয়েছে তা অতিক্রম করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

সর্বশেষ খবর