শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যস্ত বন্দরের তালিকায় ৬ ধাপ এগোল চট্টগ্রাম

প্রতিদিন ডেস্ক

চট্টগ্রাম বন্দর এখন বিশ্বের ১০০ ব্যস্ত বন্দরের মধ্যে ৬৪তম। এক বছরের ব্যবধানে একলাফে ছয় ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।

২০১৮ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে এই তালিকা করা হয়েছে। তালিকাটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিং-বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’। তালিকা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ২৯ লাখ কনটেইনার পরিবহন করেছে। ২০১৭ সালে তা ছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার। বন্দরের জেটি, পানগাঁও টার্মিনাল ও কমলাপুর কনটেইনার ডিপো মিলে কনটেইনার পরিবহনের এই সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে কনটেইনার পরিবহনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। শীর্ষ ১০০ বন্দরের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে চার দশমিক আট শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ বলেন, বৈশ্বিক তালিকায় এগিয়ে যাওয়া বন্দরের জন্য বড় সাফল্য। আগামী বছরগুলোতে এই তালিকায় আরও এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম। কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বন্দরকেন্দ্রিক নানা প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে। বৈশ্বিক এই ক্রমতালিকা শুধু কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে করা হয়। এই তালিকায় সেবার মান বিবেচনা করা হয় না। তবে তালিকার এগিয়ে যাওয়ার অর্থ ওই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়ছে। শিল্প খাতের উৎপাদনও বাড়ছে।

তালিকা অনুযায়ী, কনটেইনার পরিবহনে বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে চীনের সাংহাই বন্দর। গত বছর বন্দরটি দিয়ে ৪ কোটি ২০ লাখ কনটেইনার পরিবহন হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুর বন্দর দিয়ে ২০১৮ সালে কনটেইনার পরিবহন হয় ৩ কোটি ৬৫ লাখ। কনটেইনার পরিবহনে শীর্ষ ১০টি বন্দরের মধ্যে চীনের ছয়টি বন্দর রয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ছিল ৭০তম অবস্থানে। এর আগে ২০১৬ সালে এই বন্দরের অবস্থান ছিল ৭১তম। তালিকায় বাংলাদেশের শুধু চট্টগ্রাম স্থান পেলেও অন্য বন্দর স্থান পায়নি।  মোংলা বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা কম হওয়ায় তালিকায় স্থান পায়নি।

ব্যবসায়ীদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- বাড়ছে। এতে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য তালিকার উন্নতি। এটি অবশ্যই সুখবর। একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর