শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

চিনবেন কীভাবে সুস্থ গরু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

আসছে সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের বৃহৎ এ উৎসবকে কেন্দ্র করে জমে উঠতে শুরু করেছে সারা দেশের কোরবানির পশুর হাট। তবে হাটে বিক্রির জন্য আসা এত গরুর মধ্যে অনেক গরুই থাকতে পারে রোগাক্রান্ত অথবা ক্ষতিকর রাসায়নিক ওষুধযুক্ত। কৃত্রিমভাবে স্টেরয়েড খাইয়ে মোটাতাজা গরুর ভিড়ে সত্যিকার স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ গরু চেনা কঠিনই বটে। এসবের মধ্যে থেকে কোরবানিরযোগ্য সুস্থ গরু চেনার উপায় কী? এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ হাশেম।

তিনি বলেন, একটি সুস্থ গরুর তাপমাত্রা থাকে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি। প্রতি মিনিটে পাকস্থলী থেকে খাবার এনে যাবর কাটবে ৫০ বার। দিনে ১৫ বার প্রস্রাব করবে। মল বেশি পাতলা অথবা কঠিন হলে ধরে নিতে হবে গরুটি অসুস্থ।

অধ্যাপক ড. এম এ হাশেম আরও জানান, সুস্থ গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে। পিঠের কুঁজ মোটা ও টান হয়। মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিভ দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটিকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করা হয়নি। এ ছাড়াও একটি সুস্থ পশু নিজের স্বাভাবিক কর্মকা  করবে। এর মধ্যে রয়েছে, মশা মাছি তাড়ানো, লেজ নাড়ানো, নতুন মানুষ পেলে হয় বন্ধু ভাববে নতুবা শত্রু ভাববে। কোরবানির ক্ষেত্রে দেশি গরুকে প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে এই শিক্ষক আরও বলেন, গরুটি বর্গাকারে আকৃতি থাকবে। মনে হবে সারাদেহে মাংসে ভরা। কোনো হাড় দেখা যাবে না। চামড়া শরীরের সঙ্গে একেবারে মিশে থাকবে। ‘স্বাভাবিকভাবেই গরুর গায়ে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে মাংস একটু দেবে যায়। সুস্থ গরুর ক্ষেত্রে এই চাপ ছেড়ে দিলেই মাংস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে কৃত্রিম প্রক্রিয়ার মোটাতাজা করা গরুর গায়ে আঙ্গুলের চাপ দিলে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশি সময় নেবে বলেও জানান ড. এম এ হাশেম।’

তিনি আরও বলেন, স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেওয়া গরু হবে খুব শান্ত। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে মাংস অনেক বেশি মনে হবে। অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর