শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ছাগল ছিনতাই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাগল ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। একটি বা দুটি নয় ২১২টি ছাগল ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলাটি করেছেন ছাগল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। অভিযুক্তরা হলেন- মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না, ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম, মো. রায়হানসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জন।

পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের এসি মো. শিবলী নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করে নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এই ঘটনায় টেলিযোগাযোগ আইনে ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। ছাগল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের মামলায় ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম ও মো. রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এই মামলায় পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, কোরবানি ঈদের জন্য বিক্রি করতে গত ১১ আগস্ট একদল ব্যবসায়ী যশোরের বারোবাজার পশুরহাট ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ২১২টি ছোট বড় ছাগল ট্রাকযোগে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ছাগলসহ ট্রাকটি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের জহুরি মহল্লা এলাকায় এলে তাদের আটক করে চাঁদা দাবি করে স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। বাদানুবাদের একসময় ছাগলগুলোকে ট্রাক থেকে নামিয়ে একটি ক্লাব ঘরে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও তার চার সহযোগীসহ আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। এ সময় র‌্যাব-২ এর একটি টহল দল ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিল। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে।

 এরপর ঘটনাস্থল থেকে ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম ও মো. রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ছিনতাইকারী হিসেবে এই তিনজনকে শনাক্ত করেন। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারীরা জানায়, এ ছিনতাই ঘটনায় মূলহোতা ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না। এ ছাড়াও তারা আরও ৭-৮ জনের নাম জানায়।

সর্বশেষ খবর