শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুই কারণেই এ দুরবস্থা

-------- শাখাওয়াত উল্লাহ

দুই কারণেই এ দুরবস্থা

সাভারে এখনো পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী গড়ে না ওঠা এবং চামড়া কিনতে ব্যাংকগুলো টাকা না দেওয়ায় এবার কোরবানিতে এমন দুরবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএ সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্লাহ। তার দাবি- হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চামড়াশিল্প। ব্যাংকগুলো ট্যানারি মালিকদের টাকা দেয়নি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন শাখাওয়াত উল্লাহ। তিনি আরও বলেন, সাভারের চামড়া নগরীতে এখনো পরিবেশবান্ধব শিল্প ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো অসহযোগিতা করায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মূলত সিটিপি ও ড্রাম্পিং স্থাপন না হওয়ার ঘটনাও অনেকাংশে দায়ী। আমরা সেখানে ব্যবসা করতে পারছি না। তিনি বলেন, সরকার কাঁচা চমড়া রপ্তানির যে ঘোষণা দিয়েছে, সেটা পুনর্বিবেচনা করবে আশা করছি। কারণ কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিলে এই শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। দেশীয় শিল্প রক্ষায় কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। না হলে চামড়া শিল্প নগরীতে ৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। এই শিল্প প্রয়োজনীয় কাঁচা চামড়ার অভাবে সম্পূর্ণ অকেজো হবে। বিশাল জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে পড়বে। ফলে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ী কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারী ব্যবসায়ীদের বলছি- আমরা লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া ন্যায্য মূল্যে কিনব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সরকার নির্ধারিত দামে আগামী ২০ আগস্ট থেকে চামড়া সংগ্রহ করা হবে। তার দাবিÑ আড়তদাররা নিজেরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এতে তারাই লাভবান হবেন। আর কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হলে লাভবান হবেন আড়তদার ও মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা। এর কারণ তারা কম মূল্যে চামড়া কিনেছেন। তাই কাঁচা চামড়া রপ্তানির এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর