জাতীয় ডাটা সেন্টারে রক্ষিত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় ‘বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটি এর সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পসহ ১২ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় ডাটা সেন্টারে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। প্রতিদিন তথ্যের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামো রয়েছে। এগুলোকে সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেওয়া জরুরি। এজন্য আমরা বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটির সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পটি অনুমোদন করেছি। মন্ত্রী জানান, এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- জিএনএস করস-এর নেটওয়ার্ক পরিধি সম্প্রসারণ এবং টাইডাল স্টেশন আধুনিকীকরণ প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা। থানচি-রিমকীর-মদক-লিকরি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৩ কোটি টাকা। সুনামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ৭৬৯ কোটি টাকা। রাঙামাটি সড়ক বিভাগের অধীন পাহাড় ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিভিন্ন কিলোমিটারে ড্রেনসহ স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক আরসিসি রিটেননিং ওয়াল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকা। খুলনা কর ভবন নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। মধুমতী-নবগঙ্গা উপ-প্রকল্প পুনর্বাসন ও নবগঙ্গা নদীপুনঃখননের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবন পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প (২৭৮ কোটি টাকা); বাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি হতে ধরাভাঙ্গা এমপি বাঁধ পর্যন্ত মেঘনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (৭১ কোটি টাকা); ভূউপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প (১৭৫ কোটি টাকা); কৃষি বিপণন অধিদফতর জোরদারকরণ প্রকল্প (১৬০ কোটি টাকা) এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (২৭৭ কোটি টাকা)।