বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

পুলিশ কর্মকর্তা এগিয়ে না এলে শিশুটি চলে যেত কুকুরের পেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পুলিশ কর্মকর্তা এগিয়ে না এলে শিশুটি চলে যেত কুকুরের পেটে

মঙ্গলবার কাকডাকা ভোর। সূর্য তখনো ওঠেনি। চারদিকে নীরব-নিস্তব্ধতা। নগরীর আগ্রাবাদ বাতামতলী মোড়ে ফুটফুটে এক নবজাতককে নিয়ে টানাটানি করছে তিনটি কুকুর। একটু দূরেই শিশুর মা আয়েশা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। তার মুখে কোনো কথা নেই। ঠিক এ সময় সেখানে এসে হাজির ডবলমুরিং থানার সাব ইনস্পেক্টর (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি এগিয়ে না এলে কুকুরের পেটেই চলে যেত এ কন্যাশিশু। মা ও মেয়েকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। আয়েশার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। শুধু নিজের নামটাই বলতে পারেন ‘আয়েশা’। এর আগে গর্ভাবস্থায় তাকে ফুটপাতে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বলেন, ‘আগ্রাবাদ সোনালী ব্যাংকের সামনে তিনটি কুকুর বাচ্চাটিকে নিয়ে টানাটানি করছিল। সেখানে দায়িত্বরত এসআই মোস্তাফিজ বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন। এসআই মোস্তাফিজ বলেন, নাইট ডিউটি শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে আখতারুজ্জামান সেন্টারের সামনে ছিলাম। এমন সময় দেখি রাস্তার উল্টোদিকে সোনালী ব্যাংকের সামনে তিনটি কুকুর কিছু একটা নিয়ে টানাটানি করছে। কৌতূহল হলো। এগিয়ে গেলাম। দেখি ফুটফুটে সদ্যজাত এ শিশু। এ সময় প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া এক নারীর সাহায্য চাইলাম। তিনিও এগিয়ে এলেন। রাস্তার পাশে একটা টং দোকান থেকে কাপড় নিয়ে বাচ্চাটিকে মুড়িয়ে, ওর মাকে নিয়ে গেলাম শিশু হাসপাতালে। ওখানে ডাক্তাররা শিশুটিকে সাফসুতরো করে পরামর্শ দিলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে নিতে। মোস্তাফিজের ধারণা, সোনালী ব্যাংকের সামনে সন্তান প্রসবের পর আয়েশা রাস্তার অন্যপাড়ে গিয়ে বসেছিলেন। তখন কুকুরগুলো নবজাতকের গায়ে লেগে থাকা নাড়ি কামড়িয়ে টানাটানি করছিল।

সর্বশেষ খবর