বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন ট্যানারি মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর আড়তদারদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামেই কাঁচা চামড়া কিনছেন ট্যানারি মালিকরা। পুরনো বকেয়া রেখেই মালিকদের আশ্বাসে কাঁচা চামড়া বিক্রি করছেন আড়তদাররা। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো চামড়া কিনেন ট্যানারি মালিকরা। তবে  আবারও টাকা না পাওয়ার শঙ্কা রয়েই গেছে আড়তদারদের মধ্যে। এ অবস্থায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সমঝোতা বৈঠকে বসছে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নেতারা। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইর সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বৈঠকে দুই পক্ষের আপস করানো হবে। আড়তদারদের টাকা পরিশোধ মূল লক্ষ্য। এই শিল্পে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলেও তিনি দাবি করেন।

এফবিসিসিআইর আরেক সহসভাপতি রেজাউল করিম রেজনু বলেন, অনেক জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের চামড়ার আড়তদাররা তিন থেকে চার বছর ধরে টাকা পান না। সমঝোতা বৈঠকে এই টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় সকাল থেকেই বিভিন্ন ট্যানারি মালিকদের আড়ত থেকে চামড়া সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। আড়তদাররা জানিয়েছেন, ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন। তবে নগদ টাকায় চামড়া বিক্রি করতে না পারায় কিছুটা শঙ্কাও আছে। তারা কিছু নগদ ও কিছুটা বাকিতে চামড়া ছেড়ে দিচ্ছেন। আর ট্যানারি মালিকরা বলছেন, আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যা এখন মীমাংসিত। তারা আমাদের চামড়া দিচ্ছেন, আমরাও সারা দেশে পুরোদমে চামড়া কেনা শুরু করেছি। যা আগামী দুই-তিন মাস ধরে চলবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এবার অনেকেই ধারদেনা করে চামড়া কিনেছেন। যে চামড়া বিক্রি হচ্ছে তার অর্ধেক বাকিতে। যদি ট্যানারি মালিকপক্ষ পুরনো বকেয়া পরিশোধ করেন তবে সবার জন্য ভালো, নইলে চামড়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখায়াত উল্লাহ বলেন, আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুই দিন চামড়া কেনা হয়নি। চামড়া কেনা শুরু হয়েছে, যা আগামী তিন মাস পর্যন্ত চলবে।

সর্বশেষ খবর