রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বাংলাদেশের ৫১ বাঘ পাচার

প্রতিদিন ডেস্ক

গত ১৮ বছর ধরে বিশ্বের ৩২টি দেশ থেকে পাচারের জন্য ২ হাজার ৩৫৯টি বাঘ শনাক্ত করার ঘটনায় ৫১টি বাঘ বাংলাদেশের বলে উঠে এসেছে এক জরিপে। খবর : বিডিনিউজের।

‘স্কিন অ্যান্ড বোনস আনরিজলভড’ শিরোনামে গত বুধবার এই গবেষণা প্রতিবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রাফিক ইন্টারন্যাশনাল। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ট্রাফিকের ভাষ্য, গত ১৯ বছরের প্রতি বছর ১২০টি বাঘ হারিয়ে যায়। চামড়ার জন্য প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫৮টি বাঘ পাচার করা হয়। পাচারের ঘটনায় জীবিত ও মৃত আস্ত বাঘ মেলার ঘটনা বাড়ছে ২০১৬ সাল থেকে। ভারতে বাঘের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৭টি। বাঘের পাচার ও অবৈধ বাণিজ্যেও যে শীর্ষে আছে দেশটি, তা দেখা গেছে ট্রাফিকের গবেষণায়। তাদের গবেষণার সময়কালে ভারতের ৪৬৩টি পাচারের ঘটনা থেকে ৬২৫টি বাঘ শনাক্ত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ৩৩টি ঘটনা থেকে ৫১টি বাঘ চিহ্নিত করার কথা জানায় ট্রাফিক। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জরিপ চালিয়ে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার পাওয়া যাওয়ার কথা এ বছরের মে মাসে জানিয়েছিল বনবিভাগ। এর তিন মাসের মাথায়, দুই দিন আগে সুন্দরবনের ছাপড়াখালী এলাকা থেকে এক বাঘিনীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই বাঘিনীর বার্ধক্যজনিত মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। ট্রাফিকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ ১৩টি এশীয় অঞ্চলের দেশের বাঘ পাচারের চিত্র উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় কখনো মিলেছে বাঘের আস্ত দেহ, কখনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পাওয়া  গেছে বাঘের চামড়া; আর ২৯ শতাংশ ঘটনায় আস্ত দেহ; এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ছিল মৃত বাঘ।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর