রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

সাপাহারে করলা চাষ

নওগাঁ প্রতিনিধি

সাপাহারে করলা চাষ

নওগাঁর সাপাহারের করলা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। করলা বিক্রি করে অনেকেই এখন সচ্ছল। আমের পর সবজি চাষেও এবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চিনবে সাপাহারকে এমনটাই মনে করছেন উপজেলাবাসী। কয়েক বছর থেকেই উপজেলার চাষিরা করলা সবজি চাষে উৎসাহিত হয়ে তাদের হাইব্রিড আম বাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে করলা চাষ করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসারের খরচ মিটিয়ে কিছু টাকা লাভ করত। পরবর্তীতে সাপাহারে করলা চাষের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচা তরিতরকারীর ব্যবসায়ীরা চলে আসেন সাপাহারে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার করলা চাষিদের সেন্টার হিসেবে সাপাহার-তিলনা পাকা সড়কের বাহাপুর মোড়ে গড়ে ওঠে মৌসুমি প্রতিদিনের জন্য ৩-৪ ঘণ্টার এক অস্থায়ী বাজার। ভোর হলেই করলা চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে আসে বাজারে। ক্রেতারা করলা ক্রয় করে মিনি ট্রাকযোগে সকাল ১০টার মধ্যেই রওয়ানা হয় নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বছর আগস্টের ১৫ থেকে অক্টোবরের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত চলে এ মৌসুমি অস্থায়ী বাজার। ঢাকার কারওয়ান বাজারের আনোয়ার হোসেন নামে এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, সাপাহারের করলার গুণগত মান ভালো। এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় তিনি কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা ঢাকায় বাজারে সরবরাহ করছেন। স্থানীয় করলা চাষি আনোয়ারুল ইসলাম, ছয়ফুল ইসলামসহ কয়েকজন চাষি জানান, অস্থায়ীভাবে উপজেলা সদরের বাইরে করলার বাজার গড়ে ওঠায় এখানকার করলা চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই এখন করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন। কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টন করলা বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরে করলা চাষ করে উপজেলায় চাষিরা এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার অনেকেই এখন দেশি, হাইব্রিড, সোনামুখীসহ বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর