প্রায় সারা বছরই বাজারে পেয়ারা পাওয়া যায়। অন্যান্য ফলের চেয়ে এই ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। বিশেষ করে এ ফলে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ এত বেশি যে, আমলকী বাদে অন্য কোনো ফলে এমনটি পাওয়া যায় না। জেনে নেওয়া যাক পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। ফলটি ঠান্ডা কাশির পথ্য। তা ছাড়া শ্বাসতন্ত্র, গলা ও ফুসফুসকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা করে। রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে। তাই হার্টের রোগীরা পেয়ারা খেতে পারেন। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা পাকা পেয়ারা খেতে পারেন। যে কোনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পেটের গোলযোগে পেয়ারা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই ফলটিতে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবাল উপাদান থাকে যা পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ত্বক ভালো রাখার সঙ্গে সঙ্গে ত্বককে টানটান রাখে। পেয়ারা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পেয়ারা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে অনেকটা। পেয়ারার আছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।