বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

অস্তিত্ব সংকটে জাতীয় পার্টি

অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টি। সাংগঠনিক কার্যক্রম কমিটিতেই সীমাবদ্ধ। সংগঠনে সবাই নেতা। কর্মী নেই বললেই চলে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। জেলা জাপার দলীয় কার্যালয়ও নেই। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে মোহাম্মদ নোমানকে সভাপতি এবং এম আর মাসুদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন করেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন মোহাম্মদ নোমান। ওই সময় তাকে ঘিরে দলীয় কিছু নেতা-কর্মী দেখা যায়। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে এমপি নোমান হঠাৎ উধাও হয়ে যান। এরপর জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। বর্তমানে জেলা সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ঢিমেতালে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। সম্প্রতি পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে আয়োজিত কুলখানি অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের সাড়া মেলেনি। একাধিক নেতা জানান, বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জাপার সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম নেই। শুধু কমিটিনির্ভর হয়ে উঠেছে জাতীয় পার্টি। কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি এ সংগঠনে। উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা। জাতীয় পার্টির পৌর ও ইউনিয়ন কমিটিও নেই। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ও নেই। এদিকে গত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জেলা সভাপতি মোহাম্মদ নোমান হঠাৎ উধাও হওয়ায় দলটির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এতে নেতা-কর্মীরা বিব্রত পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। জনশ্রুতি রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন তিনি। জানতে চাইলে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক এম আর মাসুদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমার নিজস্ব স্থাপনায় পার্টির অফিস ব্যবহার করছি। সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।’

সর্বশেষ খবর