বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের ভোটার কাজ শুরু করতে চায় ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমতি পেলে পরীক্ষামূলকভাবে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কাজ শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিঙ্গাপুরে কাজ শুরুর বিষয়টি দেশটির সরকারের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। ইতিমধ্যে কমিশন থেকে সিঙ্গাপুরের কাছে এ বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। গতকাল কমিশনের ৫১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে ইসির সচিব মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ভোটার তথ্যভান্ডরের মিরর কপি (ছায়াকপি) পাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। তবে ভান্ডরের তথ্য মুছতে বা সংযোজন-বিয়োজন (ইডিটিং) করতে পারবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে গতকাল বিকালে কমিশনের ৫১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্য কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠকটি আড়াই ঘণ্টা চলে। পরে ইসি সচিব বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে ব্রিফ করেন। প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন কেবল সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমোদন দেওয়া বাকি। তারা অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করব। আমরা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ কাজ শুরু করতে চাই। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রবাসীর সংখ্যা কম। তাই সেখানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। এরপর আমরা মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যাব। সিঙ্গাপুরে সফল হলে কয়েকটি দেশে একই সঙ্গে ভোটার অন্তর্ভুক্তির কাজ শুরু করতে পারি। তিনি জানান, ইতিমধ্যে সিইসি সৌদি আরবে এ বিষয়ে সম্ভাবতা যাচাই করে এসেছেন। সেখানে অবস্থিত প্রবাসী ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে।

প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম বিদ্যমান ভোটার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা আইন পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও সাংঘর্ষিক অবস্থা নেই। আমরা বৈঠকে নীতিমালা ও বিধিমালা চূড়ান্ত করেছি।

তথ্যভান্ডারের ছায়াকপি পাবে আইসিটি : ইসি সচিব বলেন, আইসিটি বিভাগ আমাদের তথ্যভা-ারের কানেক্টিভিটি চায়। এটা আজ অনুমোদন হয়েছে। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আছে, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, তথ্যভা-ারের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কেননা, আমরা তাদের কেবল ‘মিরর কপি’ দেব। এতে তারা আমাদের তথ্যভা ারের নিরাপত্তা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারবে না। নাগরিকের তথ্য কেবল পড়া যাবে। তারা কোনো তথ্য ডিলিট বা ইনপুট দিতে পারবে না। রাজস্ব আয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের একটা আইন আছে।

যেখানে নিবন্ধনের জন্য বলা আছে। এ জন্য একটা নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। আর প্রতি নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ে দুই টাকা করে দিতে হয়। সেটাই থাকবে। সিআরভিএস প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এটা নিয়ে কমিশনে মতদ্বৈততা আছে। এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরেকটি কমিশন সভার প্রয়োজন হবে।

সর্বশেষ খবর