বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে নেতা ও কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগে বিভেদ দেখা দেয়। জেলার দুটি আসনেই দলীয় নেতৃত্ব বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ত্যাগী নেতারা অনেকটাই বঞ্চিত হয়ে পড়েন। হাইব্রিড নেতারা চলে আসেন সামনের সারিতে। অনেকটা অভিমানেই পেছনের সারিতে চলে যান পরীক্ষিত অনেক নেতা-কর্মী। এ অবস্থায় দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি নিয়েও গোপনে অনেক নেতা-কর্মী অসন্তোষের কথা বলেন। দুই পক্ষেই বিভেদ বাড়ে। এ বিভেদ ২০১৯ সালের   একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বড় আকার ধারণ করে। নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন জয়লাভের পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর এ আসনের চিত্র পাল্টে যায়। দূরে সরে যাওয়া নেতারা প্রতিমন্ত্রীর কাছে ভেড়ার জন্য ভিড় করে থাকেন। বর্তমানে এ আসনে চলছে তোষণের রাজনীতি। অন্যদিকে মেহেরপুর-২ আসনে রাজাকারপুত্র সহিদুজ্জামান খোকন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আনুযায়ী তাকে একরকম মেনে নিতে বাধ্য হন দলীয় নেতা-কর্মীরা। কিন্তু সহিদুজ্জামান খোকন নির্বাচনে জয়লাভের পর নেতা-কর্মীদের এ দূরত্ব কমাতে পারেননি। বরং গত উপজেলা নির্বাচনে দলের বিপক্ষে কাজ করায় এ দূরত্ব এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর