দুই মাসের মধ্যে দেশের সব আদালত কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালত কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানোর নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি দুই মাসের মধ্যে জানাতে বলেছে আদালত। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট। আদালত কক্ষে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, অর্থ সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গত ২১ আগস্ট হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন। গতকাল আদালতে তিনিই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আদেশের পর সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালতে তাদের জাতির জনক বা জাতীয় বীরদের ছবি টাঙানোর নজির আছে। আমাদের সংবিধানে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তা চ্যালেঞ্জ করেই আমরা রিট করেছিলাম। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বাশার বলেন, জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন আইন অনুযায়ী কেবল ধর্মীয় উপাসনালয় ছাড়া সব প্রতিষ্ঠানে জাতির জনকের প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা আছে। আইন প্রণেতারা সেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো জায়গা বাদ দেননি। তাই আদালত কক্ষেও প্রদর্শন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
