রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
গ্রুপিংয়ের রাজনীতি নড়াইলে

আওয়ামী লীগ ওপরে ওপরে ঐক্যবদ্ধ, ভিতরে গ্রুপিং

সাজ্জাদ হোসেন, নড়াইল

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে দশম সংসদ নির্বাচনে জোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির নড়াইল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমানকে নৌকা প্রতীক দিয়ে মনোনীত করা হয় এবং তিনি নির্বাচিতও হন। ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বিজয়লাভ করলেও নড়াইলের উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী। ফলে শেখ হাফিজ আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়ে ওঠেন। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে ‘নৌকার মাঝি’ হিসেবে দায়িত্ব পান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। রাজনীতিবিদরা মনে করেন, নড়াইলের আওয়ামী লীগের কোন্দল নিরসনে এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ পায়নি দলের হাইকমান্ড। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ একটি বড় দল সেহেতু গ্রুপিং-লবিং কোন্দল থাকতে পারে। তবে এ কোন্দল ব্যক্তিগত, কোনো গ্রুপিং নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জেলার নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে সব ধরনের কর্মসূচি পালন করলেও থেমে নেই গ্রুপিং। জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট জেলা ছাত্রলীগ একসঙ্গে পালন করতে পারেনি। এক গ্রুপ জেলা কার্যালয়ে করলেও অন্য গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করে। যা জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলি বলেন, বর্তমান জেলা কমিটিতে একাধিক নেতা আছেন যারা স্থানীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন না। তারা ঢাকায় বসে জেলা পর্যায়ে গ্রুপিং করার পাঁয়তারা করছেন। এটা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও দলের জন্য ক্ষতিকর।

সর্বশেষ খবর