বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কুমিল্লায় বাসচাপায় আটজন নিহত

১৬ দিনেও নিহতের স্বজনদের খোঁজ নেননি বাসের মালিক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত আটজনের পরিবারের সদস্যদের খবর ১৬ দিনেও নেয়নি তিশা বাসের মালিক কর্তৃপক্ষ। এদিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়াময়দান গ্রামের নিহত জসিম উদ্দিনের পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য রিফাত (৮) এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। নিহত জসিম উদ্দিনের ভাই মো. মহসিন বলেন, ‘আমরা রিফাতকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে আছি। সোমবার রিফাতের পায়ের অপারেশন হয়েছে। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। মানুষের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১৬ দিনেও বাসমালিক আমাদের একটা ফোন পর্যন্ত দেননি। রিফাতের চিকিৎসাব্যয় চালাতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। পুলিশ মামলা লিখে সই নিয়েছে। কাকে আসামি দিয়েছে জানি না। আমরা দোষীদের সাজা চাই।’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালমাই থানার এসআই মো. মোস্তফা জানান, নিহত জসিমের ভাই মো. মহসিন বাদী হয়ে তিশা পরিবহনের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে তিশা পরিবহনের অভিযুক্ত চালক রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট তাকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেল নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার সুরহলি গ্রামের মিজান উদ্দিনের ছেলে। লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার বলেন, চালক গ্রেফতার হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেফতার করা হবে। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার শিকার রিফাতের বিষয়টি মানবিক। পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বলেছি আহত রিফাতের পাশে দাঁড়াতে।’ উল্লেখ্য, ১৮ আগস্ট কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার-সংলগ্ন জামতলীতে বাস ও সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের ছয়জন, অটোরিকশার চালক এবং এক দোকান কর্মচারী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত রিফাত নামের আট বছর বয়সী এক শিশু বেঁচে যায়। নিহতরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর গোয়ালপট্টির বন্ধন খাবার হোটেলের মালিক জসিম উদ্দিন (৪৮), তার স্ত্রী শিরিন আক্তার (৪০), মা ছকিনা বেগম (৬৫), ছেলে শিপন (১৯) ও হৃদয় (১৬), মেয়ে নিপু (১২), দোকান কর্মচারী সাইমুন (১৪) ও করপাতি অটোরিকশাচালক জামাল উদ্দিন (৩৫)। ঈদের ছুটি কাটিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লা নগরীতে ফিরছিলেন জসিম।

সর্বশেষ খবর