বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় জমেছে বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় জমেছে বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মেলা

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) জমে উঠেছে বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি, সুতা এবং রাসায়নিক সামগ্রীর চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ২০তম টেক্সটেক বাংলাদেশ-২০১৯। এই প্রদর্শনীতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ইতালিসহ ২৫ দেশের ১ হাজার ২৫০ প্রতিষ্ঠান তাদের দেড় হাজার স্টলে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, পণ্য ও পরিসেবা প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীতে আসা দর্শক, ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও অংশগ্রহণকারীরা একে অন্যের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসারে তথ্য ও সহায়তা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস গ্লোবাল।

গতকাল সকালে আইসিসিবিতে এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এতে আরও বক্তব্য দেন- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিকেএমইএ প্রথম সহসভাপতি মনসুর আহমেদ ও আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেরুন এন ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, গার্মেন্ট খাতের বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই ধারা ধরে রাখতে হলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বাধা উতরে সামনে এগোতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে সুবিধা সামনে আর পাওয়া যাবে না। সে জন্য টিকে থাকার কৌশল বের করতে হবে। বাজার ধরে রাখার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। নতুন নতুন বাজার এবং নতুন পণ্য না আনলে টিকে থাকা কঠিন হবে।

জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে এটা প্রয়োজন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে এখানে সবাই আসবে।

অনুষ্ঠানে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস গ্লোবাল জানিয়েছে- গতকাল শুরু হওয়া চার দিনের প্রদর্শনী ‘টেক্সটেক বাংলাদেশ’ এর বিংশতম আসর চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ‘টেক্সটেক বাংলাদেশ’ এর পাশাপাশি এবার ‘১৬তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড  ফেব্রিক  শো’ এবং ‘৩৮তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো’ চলছে।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরতে গিয়ে নিজেদের গবেষণার তথ্য উল্লেখ করে সেমস গ্লোবাল জানিয়েছে- এই মুহূর্তে চীনের স্বল্প মজুরির কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

ওই কাজের বাজার ধরতে গেলে বাংলাদেশকে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে সেই বিনিয়োগ ভিয়েতনামে চলে যাবে। তৈরি পোশাক রপ্তানির বাজারে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়।

গত অর্থবছর বাংলাদেশ টেক্সটাইল ও পোশাক রপ্তানি করে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং জিডিপির ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সেমস গ্লোবাল আশা করছে- ‘টেক্সটেক বাংলাদেশ’ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং দর্শক, ভোক্তা, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যা উদ্যোক্তাদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ঘটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর