বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
গাইবান্ধা সাঁওতাল পল্লী

চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রায় তিন বছর আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে গতকাল নারাজি দিয়েছে বাদীপক্ষ। এ নিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র। পাশাপাশি চার্জশিটের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন। মামলার বাদী থমাস হেমব্রমের পক্ষে নারাজি পিটিশন দাখিলকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জেড আই খান পান্না বলেন, মামলার তদন্তকারী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তার দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন মনগড়া, পক্ষপাতমূলক এবং সর্বোপরি ঘটনাকে আড়াল করা হয়েছে। যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ, তথ্য-উপাত্ত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এজাহারভুক্ত আসামিসহ জড়িত কয়েক পুলিশ কর্মকর্তা এবং রংপুর সুগার মিলের কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতাদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চার্জশিটে বাদীপক্ষের লোকজন ও জড়িত নয় এমন কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই মনগড়া ও মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের কারণে বাদীসহ ভুক্তভোগীরা অপূরণীয় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাই পুনঃ তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে এ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। পিটিশনে আসামিদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ ও যুক্তি উপস্থান করে বিচার বিভাগীয় পুনঃ তদন্তও চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী পান্না।

এদিকে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিলের পরই স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ করেছেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন। সমাবেশে চার্জশিটে প্রকৃত আসামিদের অন্তর্ভুক্তিসহ জড়িতদের বিচার ও বাপদাদার সম্পত্তি ফেরতের দাবি জানানো হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকায় সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যা মামলায় গত ২৮ জুলাই গোবিন্দগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে পিবিআই গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হাই সরকার চার্জশিট দাখিল করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর