জেলা বিএনপির রাজনীতি অনেকটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা। জেলা কমিটি নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দলীয় কর্মকান্ডে নিস্ক্রিয়তা, ৮-৯ বছর ধরে উপজেলা ইউনিটগুলোর কাউন্সিল না হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগে যোগদান করায় দলে নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে। ফলে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকা ও অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে খুন হন জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান। ২০১৭ সালের ৭ মার্চ রহমতউল্লাহ পলাশকে সভাপতি ও শেখ তরিকুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপি কমিটির গঠন করা হয়। এরপর নেতা-কর্মীরা কিছু দিন নড়েচড়ে বসলেও দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই মেরুতে অবস্থান নেন। ফলে দলীয় কর্মকান্ডে নতুন করে সংকট দেখা দেয়। জেলার ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় গত ১০ বছরেও কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হয় জেলা কমিটি।