শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাতিরঝিলের আদলেই হবে বাঞ্ছারামপুরের ঢোলভাঙায় লেক

রফিকুল ইসলাম রনি ও আতাউর রহমান সনেট, বাঞ্ছারামপুর

হাতিরঝিলের আদলেই হবে বাঞ্ছারামপুরের ঢোলভাঙায় লেক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ঢোলভাঙা এলাকাকে হাতিরঝিলের মতো করে চলছে সাজানোর পরিকল্পনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢোলভাঙা-তিতাস নদী ঘেরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরকে ঢাকার হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন করতে নেওয়া হচ্ছে নতুন উদ্যোগ। এ জন্য আগে নদী ভাঙন রোধ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদে জোর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই নদী ভাঙন রোধে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

নদীর দুই পাড় ভাঙন রোধ, সৌন্দর্য বৃদ্ধি, পরিবেশগত উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও পার্ক স্থাপন করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। গত সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা জোনের প্রধান প্রকৌশলীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে ঢোলভাঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সদর ঢোলভাঙ্গা ও তিতাস নদী ঘেরা। পাশেই মেঘনা নদীর বাম তীর। এই মেঘনা নদীর ভাঙনে উপজেলার অনেক গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে ১৯৯৬ সালে আমি উদ্যোগ নিলেও ২০০১ সালে সে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে বিজয়ী হয়ে ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙন রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করি। এতে চরমরিচা কান্তি, শান্তিপুর, উলুগান্ধী, মরিচাকান্তি গ্রাম ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়। আগে এসব গ্রামের মানুষ ৫ হাজার টাকা বিঘা জমি বিক্রি করতেন। কিন্তু ক্রেতা পাওয়া যেত না। এখন কেউ জমি বিক্রিই করতে চায় না।  রেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পূর্ব পাশ থেকে দুর্গারামপুর ওভারব্রিজ পর্যন্ত এবং বাঞ্ছারামপুর মোল্লাবাড়ি থেকে বাঞ্ছারামপুর কবরস্থান পর্যন্ত নদী ভাঙন রোধে প্রায় আড়াই কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এতে উপকৃত হবে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। রক্ষা পাবে এলাকার জীববৈচিত্র্য। এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় এমপি এ বি তাজুল ইসলাম। সম্প্রতি এ জন্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় কুমিল্লা জোনের উপ-প্রধান প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত সোমবার তারা সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেন। ঢোলভাঙ্গা-তিতাস নদীর ভাঙন রোধ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দৃষ্টি নন্দন করে তোলা প্রসঙ্গে এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রকে নদী ভাঙনের রোধসহ পর্যটন কেন্দ্র গড়তে উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে। নদীর তীরে থাকবে হাঁটার রাস্তা, বসার স্থান, নদীঘাট, পর্যটকদের জন্য প্রমোদতরী। দুই পাড়ে থাকবে আধুনিক সাজসজ্জাসহ আলোকসজ্জা। কিছু স্থান রাখা হবে খোলামেলা। দর্শনার্থীদের বসার জন্য ছোট ছোট টেবিল। সব বয়সের দর্শনার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে পার্কে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর