মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর ম লের কোনো দায় খুঁজে পায়নি এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। ওই ঘটনায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসকেরও কোনো দায় নেই বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তবে তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে ফেরিঘাটের তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফেরিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাত দফা সুপারিশও দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনটি গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষ হলে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন, ঘাটের প্রান্তিক সহকারী খোকন মিয়া এবং উচ্চমান সহকারী ও গ্রুপপ্রধান ফিরোজ আলম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর ফেরি ছাড়ায় তিতাসের মৃত্যু হওয়ার পেছনে এই তিনজন দায় এড়াতে পারেন না।সাত দফা সুপারিশ : এক. ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া ও পৌঁছানোর সময় মাস্টারকে অবশ্যই স্থায়ী লগবুক বা রেজিস্টারে সময় লিখে সই করতে হবে। দুই. ফেরিঘাটে ফেরির র্যাম্প উঠিয়ে কোনো ব্যক্তির জন্য কোনোভাবেই অপেক্ষা করা যাবে না। তিন. নীতিমালা অনুযায়ী ভিআইপি সুবিধা চেয়ে কেউ ফেরি পারাপার হতে চাইলে তাকে অবশ্যই তার সরকারি ভ্রমণ বিবরণী আগে থেকেই ফেরি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে আগে যোগাযোগসাপেক্ষে ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ম শিথিল করা যেতে পারে। চার. অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়িকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ফেরি পারাপারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাঁচ. প্রতিটি ঘাট ও ফেরিতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে গাড়ি ও ফেরি পারাপারের বিষয় পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ছয়. ফেরিঘাট ও ফেরিতে কর্মরত সবার নাম ট্যাগসহ নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হবে। সাত. ফেরিঘাট ও ফেরিতে জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।