সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অভিমান-সংশয়ে আওয়ামী লীগ

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এরপর ৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ফলে নিজের ঘরেই চাপের মুখে থাকা সাবেক এই সংসদ সদস্য স্থানীয় রাজনীতিতে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রেখেছেন। তার অনুসারীরাও দোদুল্যমানতায় সাংগঠনিক কাজে প্রায় নিষ্ক্রিয়। অপরদিকে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষোভে-অভিমানে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ ত্যাগী      নেতা-কর্মী। অতি উৎসাহী কতিপয় নেতার বিতর্কিত কর্মকাে  তৈরি বিভেদ মাঝে-মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে। গত ১৯ মে খুলনার ইউনাইটেড ক্লাবে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যে তাদের ক্ষোভের কথা জানান। নগর আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন নগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি বলেন, তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করতে দলের দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের খুঁজে বের করা হবে। মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু ও বিতর্কিত কাউকে দলের সদস্য দেওয়া হবে না। আর ক্ষোভ-অভিমান প্রকাশ করে মহানগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি খুলনা-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলাম। তারপরও মাত্র ২০ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত। রাজনীতিতে উত্থান-পতন থাকে। আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য কাজ শুরু করেছি।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর