সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বিরল দর্শন ‘সিঁদুর সিঁথি তিত’ পাখি

আলম শাইন

বিরল দর্শন ‘সিঁদুর সিঁথি তিত’ পাখি

বিরল দর্শন পরিযায়ী পাখি। এর বাংলা নাম ‘সিঁদুর সিঁথি তিত পাখি’। ইংরেজি নাম ‘ফায়ার ক্যাপড্ টিট (Fire-capped Tit)’। বৈজ্ঞানিক নাম ‘Cephalopyrus flammiceps’। শীতে আমাদের দেশে         চট্টগ্রামের চুনতি অরণ্যে এ পাখির দেখা মেলে। এরা পাহাড়ি অঞ্চলের চিরসবুজ অরণ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রজনন সময় ঘনিয়ে এলে ছুটে যায় নিজ বাসভূমি হিমালয় অঞ্চলে। আকারে ছোট হলেও নজরকাড়া রূপ এদের। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখির রূপ অনেকটাই নি®প্রভ। ফলে ঝুটি বেমানান লাগে। তবে পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখি বেশ চঞ্চল। প্রজনন মৌসুমে চঞ্চলতা বৃদ্ধি পায় দ্বিগুণ। সব সময় জঙ্গলে এদের দেখা যায় না। কেবল শিকারের খোঁজে যখন উচ্চৈঃস্বরে ‘টিসিট-টিসিট-টিসিট-টিসিটি’ সুরে ডাকে, তখনই এদের দেখা মেলে। এ সময় এরা গাছের ডালে ডালে কিংবা লতা-পাতার ওপর বসে শিকার খোঁজে। প্রজনন সময়ে এদের স্বর পরিবর্তন হয়। শুনতে শ্রুতি মধুর লাগে। এ প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ৮-১০ সেন্টিমিটার। ঠোঁট কালচে। পুরুষ পাখির দেহের উপরিভাগ জলপাই-হলুদ। ডানায় ডোরাদাগ। কপালের দিক থেকে গলা পর্যন্ত সিঁদুর লাল। গলার নিচ থেকে বুক পর্যন্ত হলুদ, পরের অংশ ধূসর সাদা। শীতে রং বদলায়। এ সময় কপাল ও গলার সিঁদুর লাল উধাও হয়ে যায়। স্ত্রী পাখি দেখতে অনেকটাই ম্লান। তবে প্রজনন মৌসুমে রং হলদেটে হয়। এদের প্রধান খাবার পতঙ্গ এবং ফুলের মধু। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে মধ্য জুন। প্রজনন ভূমি অরুণাচল থেকে পাকিস্তানের উত্তরাংশ পর্যন্ত। এরা সাধারণত ভূমি থেকে ৬-১২ মিটার উচ্চতার গাছের দুই ডালের ফাঁকে পেয়ালা আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২টি। বাকি তথ্যাদি আজও জানা যায়নি।

সর্বশেষ খবর