মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রওশন এলেই প্রাণ পায় সুন্দর মহল

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ময়মনসিংহে এলে প্রাণ পায় জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। তিনি ময়মনসিংহে এলে ‘সুন্দর মহল’ নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়। নয়তো জেলার রাজনীতি কোনো মতে ধরে রাখেন চার নেতা। অন্যদিকে মহানগরকে একলা আগলে রেখেছেন সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ। সবশেষ গত ২৮ জুলাই রওশন এরশাদ ময়মনসিংহে আসেন। এক দিনের সফরে তিনি জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে দলীয় বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। রওশন থাকা অবস্থায় দলীয় কার্যালয় ও সুন্দর মহল ছিল নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখর। তিনি ঢাকায় ফেরার পর থেকে সেই সুন্দর মহল এখন অন্তঃসারশূন্য।

জানা যায়, রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ জেলা জাপারও সভাপতি। আর জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি সাধারণ সম্পাদক। এ দুজনই জেলার রাজনীতিতে অনিয়মিত হওয়ায় অনেকটাই ঘুণে ধরার মতো অবস্থায় দলটি। তাদের অবর্তমানে জেলার যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ও শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিছ আলী, সহ-সাংগঠনিক আব্বাছ আলী তালুকদার নেতা-কর্মীদের নিয়ে কোনো মতে সাংগঠনিক হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেন। অন্যথায় দল অনেকটাই স্তিমিত। সব মিলিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমে বেগ না থাকায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, সাংগঠনিকভাবে অনেকটাই অগোছালো এই দলটি গত ৫ মে সিটি নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে মাত্র দুজন কাউন্সিলর নির্বাচন হন। এমনকি সদরের চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও একটিতে প্রার্থী দিতে পারেনি দলটি। চর ঈশ্বরদিয়া, চর সিরতা, ও ভাবখালীতে প্রার্থী দিলেও অধরাই থেকেছে জয়। এদিকে এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টিতে দেবর-ভাবীর বিবাদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে এ নিয়ে মহানগর জাপা সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, আমরা চাই উনারা দুজনেই মিলেমিশেই দল চালাক। তিনি আরও জানান, সাংগঠনিকভাবে আমরা অনেক শক্তিশালী। কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি না থাকায় রাজপথে আমাদের দেখা মেলে না। আর কমিটিগুলোও খুব দ্রুত করে ফেলা হবে।

সর্বশেষ খবর