শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আলুর ভাইরাস শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

আলুর ভাইরাস শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আলু উৎপাদনকালীন রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব নিয়মিত চিত্র। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বালাইনাশক ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত কিছু রোগ দমন করা গেলেও ভাইরাসঘটিত রোগ দমন দূরের কথা চিহ্নিত করাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অতিসম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক আলু গাছে ভাইরাস শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা দেশে আলুর বালাই ব্যবস্থাপনায় এক অপার সম্ভাবনার হাতছানি। দীর্ঘ তিন বছরের গবেষণায় শেকৃবি উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে এ গবেষণাকর্ম (ভাইরাস ডিটেকশন প্রটোকল) সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস ফেলো ইবনে সিয়াম জয়, কানিজ ফাতেমা ও রত্না আক্তার গবেষণাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ড. বেলাল বলেন, ‘এ প্রটোকলের মাধ্যমে আক্রান্ত আলু গাছের পাতা ও কন্দের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করতে পারব। আলুর টিউবার (কন্দ) ভাইরাসমুক্ত না হলে স্বভাবতই সেখান থেকে যে গাছটি হয় তা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বেড়ে ওঠে। একসময় গ্রিন পিস এফিড নামক বিশেষ কীটের দ্বারা সহজেই তা অন্যান্য সুস্থ গাছেও পরিবাহিত হয়। এতে পুরো ফসলই বিনষ্ট হয়ে যায়। এফিডটি পাতার নিচে অবস্থান নেওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগেও এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয় না।’ তিনি জানান, এ ধরনের ভাইরাস নির্মূল করার কোনো উপায় না থাকলেও আবিষ্কৃত এ প্রটোকলের মাধ্যমে তা অনেকাংশেই প্রশমন করা যাবে। গবেষণার ভবিষ্যৎ কর্মপরিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এই গবেষক বলেন, ‘আলুতে সুনির্দিষ্ট ভাইরাস শনাক্তের পর এর বিরুদ্ধে কার্যকর জিন প্রবেশ করিয়ে পরে নতুন কোনো জাত বা লাইন উন্নতকরণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ এ পদ্ধতির মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে ১৫-২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি সম্ভব বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর