শিরোনাম
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফারুক হত্যার দুই আসামি নিহত বন্দুকযুদ্ধে

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। দুজনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি।

গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু উপজেলার বুসিদং ইউনিয়নের হাসুরতা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার

নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জমির আহমদের ছেলে মো. আবদুল করিম (২৪) ও মিয়ানমারের একই ইউনিয়নের পুইমালী গ্রামের বাসিন্দা এবং একই ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহমদ (২৭) ওরফে নেছার ডাকাত। টেকনাফ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ‘বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা চাইল্ড ফেন্ডলি স্পেস অফিসের  পেছনে অভিযান চালায়। এ সময় অস্ত্রধারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন (৩৫), কনস্টেবল নাবিল (৩০) ও রবিউল ইসলাম (৩৩) আহত হন। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি করে এগিয়ে যায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গারা এগিয়ে এলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৭ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেছে।

কুষ্টিয়ায় একজন নিহত : কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুজন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। গতকাল রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানেলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি, মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুজন একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, রাত ২টার দিকে মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানেলপাড়ায় দুদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলছে; এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা জবাব দিলে বেশ কিছুক্ষণ উভয়ের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুজন সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানেলপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

সর্বশেষ খবর