শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

অপারেশনের তিন মাস পর পেট থেকে বের হলো গজ-ব্যান্ডেজ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে অপারেশনের সাড়ে তিন মাস পর প্রসূতির পেট থেকে বের করা হয়েছে গজ-ব্যান্ডেজ।

জানা গেছে, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মাজেদ শেখের স্ত্রী গর্ভবতী ফরিদা বেগম (২৬) ২৪ মে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন সাফা-মক্কা পলি ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেদিনই ফরিদাকে সিজার অপারেশন করান ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস। কয়েকদিন পর হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেন ফরিদা। কয়েকদিনের মধ্যে ফরিদার পেটে ব্যথা শুরু হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের দেওয়া ব্যথার ওষুধ কিনে খান। কয়েকদিনের মধ্যেই ফরিদার পেটে পড়ঢ়  ব্যথা শুরু হয় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার ফরিদার স্বজনরা শহরের হ্যাপী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করান। এতে ফরিদার পেটে গজ-ব্যান্ডেজের     অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে অপারেশনের মাধ্যমে ফরিদার পেট থেকে গজ-ব্যান্ডেজ বের করা হয়। এ ঘটনাটি জানার পর রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফরিদার অপারেশন পরিচালনাকারী হ্যাপী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, সিজারের পর রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ  রেখেই সেলাই করা হয়েছিল। ফলে সেই গজ পচে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে পেটে গজ-ব্যান্ডেজ থাকার পর রোগী যে বেঁচে আছেন সেটিই আশ্চার্যজনক। তিনি বলেন, বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন এবং তিনি শঙ্কামুক্ত। রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের বিষয় জানতে বৃহস্পতিবার রাতে সাফা-মক্কা পলি ক্লিনিকে গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক শ্যামল বিশ্বাস বলেন, ‘কবে কোথায় সিজার অপারেশন করেছি তা খাতাপত্র না দেখে বলা সম্ভব নয়। গতকাল সকালে হাসপাতালে এলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাবে। গতকাল সকালে ডা. শ্যামল কুমারের ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। রোগীর স্বজনরা ঘটনার জন্য দায়ী চিকিৎসক এবং ক্লিনিক মালিকের বিচার দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর