রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের প্রতিবাদ, স্লোগানে সরগরম নয়াপল্টন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদালতের স্থগিতাদেশের পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। ওই আদেশের প্রতিবাদে গতকাল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের পক্ষে দফায় দফায় মিছিল বের করা হয়েছে।

বিএনপি কার্যালয়ের নিচে বৃত্তকার হয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা ‘মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি স্লোগানের পাশাপাশি ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিল স্থগিতে সরকারকে দায়ী করে নানা ধরনের স্লোগান দেয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে নয়জন প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেনÑ কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মো. ফজলুর রহমান খোকন, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, এস এম সাজিদ হাসান বাবু, এ বি এম মাহমুদ আলম সরদার ও মামুন খান। গতকাল ফজলুর রহমান খোকন ও কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের কর্মী-সমর্থকরা প্রার্থীকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ছাড়া সভাপতি পদে অন্য প্রার্থীদের সমর্থকদেরও নয়াপল্টনে সরব ভূমিকায় দেখা গেছে।

সাধারণ সম্পাদক ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেনÑ শাহ নাওয়াজ, মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, মো. আমিনুর রহমান আমিন, শেখ আবু তাহের, সাদিকুর রহমান, কে এম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তানজিল হাসান, মুন্সী আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান শরিফ, শেখ মো. মশিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা ও কাজী মাজহারুল ইসলাম। তাদের সমর্থকদেরও নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন বেলা সাড়ে ১১টায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতে যাব, এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থগিতাদেশের বিষয়টি ফয়সালা হলে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের কর্মী সোহরাব হোসেন বলেন, অনেক আশা নিয়ে আমরা আজকের দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নির্বাচন হবে, আনন্দ করব। সবকিছুই ওলট-পালট হয়ে গেল। সরকারের যোগসাজশেই এই স্থগিতাদেশ। কিন্তু এতে ছাত্রদলের কোনো ক্ষতি হয়নি বরং সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কর্মী রিজভী নেওয়াজ বলেন, কাউন্সিল কবে হবে অনিশ্চিত। যে মামলা করা হয়েছে তার ফয়সালা সহসা হচ্ছে না। তাহলে কী হবে? সাবেক ছাত্রনেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে তার বিরুদ্ধে রবিবার আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন। স্থগিতাদেশে উঠে গেলে খুব শিগগিরই কাউন্সিল হবে। প্রার্থী ও ভোটার তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হয়ে গেছে। এখন শুধু ভোট গ্রহণই বাকি। ফলে এটা সম্পন্ন করতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

সর্বশেষ খবর