সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পুলিশ-গার্মেন্ট শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ-গার্মেন্ট শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ২০

বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গতকাল মিরপুরে দিনভর সড়ক অবরোধ করে রাখেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গতকাল গার্মেন্ট শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরাও সড়ক অবরোধ করে ইটপাটকেল ছুড়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিরপুর সনি সিনেমা   হলের সামনের রাস্তায় সকাল ৮টায় বিক্ষোভ শুরু করেন জারা জিন্স গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এতে চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর-১০ নম্বর থেকে মাজার রোডে যাওয়ার সড়ক, মিরপুর বাঙলা কলেজ সড়কসহ আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, তাদের চার মাসের বেতন, দুই মাসের ওভারটাইম বাকি। বেতন না দিয়ে গত বৃহস্পতিবার মালিকপক্ষ কারখানায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। মালিকের মোবাইল ফোনও বন্ধ। গত ঈদের আগেও আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়েছিল। বুধবার বিজিএমইএতে গিয়েছিলেন তারা। সেখান থেকে বলা হয়েছিল শনিবার বিষয়টি সমাধান হবে। কিন্তু শনিবার বিজিএমইএ অফিসে গেলে সেখানকার কেউ কোনো কথা বলেননি। এজন্য আজ (গতকাল) রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে মালিকপক্ষ দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। গার্মেন্ট মালিক জানিয়েছেন, এক-দেড় মাস গার্মেন্টে কোনো কাজ নেই। তাই শ্রমিকদের বেতনও দেওয়া হয়নি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর এলাকায় একটি রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতাধিক টিয়ার শেল, কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। গতকাল সকাল ১০টায় বেতন ভাতা ও অন্যান্য কয়েকটি সুযোগ সুবিধার দাবিতে কাঁচপুরে সিনহা ওপেক্স গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে এ সংঘর্ষ বাধে। শিল্পপুলিশ-৪ এর পুলিশ সুপার বশির বিকালে জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সকালে শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক এবং শ্রমিকরা শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর