বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলাবান্ধায় হবে আধুনিক ইমিগ্রেশন কেন্দ্র

ঢাকা গ্যাংটক বিমান চালুর প্রস্তাব

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

বাংলাবান্ধায় হবে আধুনিক ইমিগ্রেশন কেন্দ্র

শিলিগুড়ির কাছে বাংলাবান্ধায় আধুনিক ইমিগ্রেশন কেন্দ্র নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী গত রবিবার সিকিমের রাজ্যপাল গঙ্গা প্রসাদের সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য দিয়ে বলেন, ঢাকা-বাগডোগরা ও গ্যাংটক-ঢাকা বিমান সার্ভিস চালু হলে মানুষ উপকৃত হবে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী এতে সহমত পোষণ করেন বলে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়। এই সময়ে দিল্লির মিশনের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) জাহিদুল ইসলাম ছিলেন। ঘরোয়া আলোচনায় হাইকমিশনার আলী এও বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যত পর্যটক আসেন তার পঞ্চাশ শতাংশ আসেন চিকিৎসার জন্য। তাছাড়া সিকিমেও বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি ভারত সরকার বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সিকিমে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছেন। সিকিম সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে রাজভবনের বৈঠকে হাই কমিশনার সিকিম থেকে বাংলাদেশের বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সিকিমের সঙ্গে ঢাকার বিমান সংযোগ স্থাপিত হলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে এবং যারা চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গে আসেন তাদেরও সুবিধা হবে। স্থলবন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ভুটান-বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়ন হলে এ পথে যোগাযোগ আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জৈব পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ পণ্য, বস্ত্র ও পর্যটনেও বাণিজ্য করতে পারবে। এতে সিকিম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস গোলের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উঠে আসে শিলিগুড়ির কাছে একটি ভিসা অনুমোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়। এতে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পক্ষে সহজেই শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও গ্যাংটক আসা প্রশস্ত হবে। ভারত সরকার সিকিম ছাড়াও অরুণাচল ও লাদাখে পর্যটকদের যাওয়ার বিষয়টি শিথিল করেছে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বাগডোগরা-ঢাকা বিমান সার্ভিস চালু করার কথা বলেন। বাংলাবান্ধা ও ফুলবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি হয়ে সড়ক চার লেন করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ৪ লেন সড়ক হলে বাংলাদেশ থেকে গাড়ি নিয়ে সরাসরি গ্যাংটক আসা যাবে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ-সিকিম যৌথভাবে তীর্থ ক্ষেত্র পর্যটন ও নৈসর্গিক স্থান প্রদর্শনের উদ্যোগ নিতে পারে। তার মতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে গুরুত্ব দেন। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এই যৌথ উদ্যোগ সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর