শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্ষমতায় থাকলেও ভোট বাড়ছে না আওয়ামী লীগের

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আর্থিকভাবে শক্তিশালী হলেও দল শক্তিশালী হয়নি। টানা তিন মেয়াদে দল ক্ষমতায় থাকলেও জেলায় ভোটার ও কর্মী বাড়েনি। বরং ভোট আগের চেয়ে আরও কমেছে। ভোটার বাড়ানোর কোনো কর্মসূচিও নেই।  বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের রয়েছে ব্রিটিশ আমলের দ্বিতল ভবনের নিচতলায় দুটি ঘর। এর একটি জেলা আওয়ামী লীগ এবং অন্যটি জেলা ছাত্রলীগ ব্যবহার করে। জায়গাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নামে ইজারা নেওয়া। দুটি ঘরের সামনের উন্মুক্ত জায়গাটি ছাউনি দিয়ে ঘিরে নিয়ে ব্যবহার করে আসছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, শহর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ। দ্বিতল ভবনটির উপরতলা বামপন্থি কয়েকটি দল তাদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। মাত্র দুটি ঘরেই আওয়ামী লীগের কয়েক দশকের ইতিহাসে রয়েছে বেশ কিছু দাপুটে নেতার নাম। যারা দল ও দেশের কথা ভেবেছেন। ১৯৯৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর আওয়ামী লীগের কা ারি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর নেতৃত্বে দৈন্যদশা সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নানা কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা এবং ক্ষোভ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কিছু কর্মী জানান, বগুড়ার কিছু আওয়ামী লীগ নেতা রয়েছেন যারা পদ-পদবি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তারা দলের খোঁজ রাখেন না, কর্মীদেরও খোঁজ-খবর নেন না। দলের ভোট ও ভাবমূর্তি বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেই। তৃণমূল পর্যায়ে দলের তেমন কোনোই কার্যক্রম নেই। সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি বা সরকারের সফলতা তুলে ধরতেও কাউকে দেখা যায় না। ভোট বাড়ানোর পক্ষে কখনো কোনো উদ্যোগ বা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়নি। ফলে ভোটার বা সমর্থক বাড়ছে না। তবে বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা রফি নেওয়াজ খান রবিন দাবি করেন, বগুড়ায় আওয়ামী লীগের শক্তি আগের থেকে অনেক বেড়েছে। পৌর কমিটির মাধ্যমে ভোটার বৃদ্ধির জন্য কাজ চলছে। পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সদস্য বৃদ্ধির জন্য সভা সেমিনার করা হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগে এখন দ্বন্দ্ব নেই। তবে প্রতিযোগিতা আছে। প্রতিযোগিতা আছে বলেই দলে এখন চাঙাভাব আছে। নেতা-কর্মীরা দলের জন্য সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর