শিরোনাম
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

তবুও ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হওয়ার পর গতকাল আবারও মধুর ক্যান্টিনে এসেছিলেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে সেখানে আসেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা। এর কিছুক্ষণ পর ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সেখানে আসেন। বাগ্বিত-া বা সংঘর্ষের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এদিন ‘উসকানিমূলক স্লোগান’ দেওয়ার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি চত্বরে জড়ো হন ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন তারা। সেখানে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি তানভীর রেজা রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ ২ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্রদলের কাউন্সিলে পরাজিত প্রার্থীদের অনেককেই গতকাল মধুর ক্যান্টিনে দেখা যায়। মধুর ক্যান্টিনে মিলিত হওয়ার পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রদল নেতারা। সোমবার তাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাস করি বলেই আজকে ক্যাম্পাসে এসেছি। তবে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস আসার পর আজও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়েছেন। আমরা বিরোধী সংগঠন হিসেবে এগুলোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েই এসেছি।’ এদিকে আদালত কর্তৃক ছাত্রদলের নতুন কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শ্যামল বলেন, ‘আমরা এখনো আদালতের রায়ের লিখিত কোনো কপি হাতে পাইনি। ফলে রায়ে কী লেখা আছে, তা এখনো জানি না। আর একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো জায়গায় আসতে পারি। আজও এসেছি, আগামীকালও আসব।’ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে ছাত্রদলের অভিযোগ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বক্তব্য জানতে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে ফোন দিয়েও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর