কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেছেন। তিনি প্রায় আট বছর ধরে নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ছাড়া তিন বছর ধরে তিনি পত্রিকাটি সামগ্রিকভাবে দেখভাল করছিলেন। শুরুতে ২০০৯ সালের মে মাসে তিনি সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন এবং টিম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১০ সালের জানুয়ারিতেই উপসম্পাদক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। কালের কণ্ঠে যোগদানের আগে তিনি প্রথম আলোয় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে প্রথম আলোর জন্মলগ্নেই তিনি কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৯ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনি কূটনৈতিক বিটে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রথম আলোর চিফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাহিত্যিক হিসেবেও মোস্তফা কামাল প্রতিষ্ঠিত। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১০৫। তার সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘অগ্নিকন্যা’, ‘অগ্নিপুরুষ’, ‘অগ্নিমানুষ’, ‘জননী’, ‘জনক জননীর গল্প’, ‘পারমিতাকে শুধু বাঁচাতে চেয়েছি’, ‘জিনাত সুন্দরী ও মন্ত্রীকাহিনী’, ‘হ্যালো কর্নেল’ প্রভৃতি। কলকাতা থেকে সাহিত্যম প্রকাশ করেছে দুটি বই। গত বছর ভারতের নোশন প্রেস থেকে বেরিয়েছে তার তিনটি উপন্যাসের ইংরেজি সংকলন ‘থ্রি নভেলস্’। এ বছরের জানুয়ারিতে লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশারস থেকে প্রকাশিত হয় ‘দ্য মাদার’। মোস্তফা কামাল ১৯৮৪ সালে লেখালেখি শুরু করেন। ’৮৫ সালে বরিশাল থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। পরে তিনি দৈনিক প্রবাসী, সাপ্তাহিক বিচিত্রা, আনন্দ বিচিত্রা, সাপ্তাহিক ঢাকা, পূর্বাভাস ও রোববারে লেখালেখি করেন। পেশাগত সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন ১৯৯১ সালে। ’৯৪ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন এবং কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোস্তফা কামালের জন্ম বরিশালের আন্ধারমানিক গ্রামে। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোর। এর পর থেকে ঢাকায় নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা। উচ্চশিক্ষা ইংরেজি সাহিত্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে।

কলামিস্ট হিসেবেও রয়েছে তার বিশেষ খ্যাতি। তার অবসর কাটে বই পড়ে, গান শুনে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।