শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

কুয়াকাটার মাস্টারপ্ল্যান এখনো কাগজে কলমে

সঞ্জয় দাস লিটু, পটুয়াখালী

কুয়াকাটার মাস্টারপ্ল্যান এখনো কাগজে কলমে

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। এ দিবসের তাৎপর্যকে ভিত্তি করেই ২১ বছর আগে ১৯৯৮ সালের মে মাসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে করা হয়েছিল মাস্টারপ্ল্যানও। কিন্তু সবই রয়ে গেছে কাগজো-কলমে। আজও বাস্তবায়ন হয়নি ওই পরিকল্পনা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের জুন মাসে কুয়াকাটার মাস্টারপ্লান তৈরির কাজ শেষ করে গেজেটের পর বই আকারে প্রকাশ করে গৃহায়ণ, গণপূর্ত ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। প্লানে বলা হয়, পটুয়াখালীর মহিপুর থানার কুয়াকাটা ও এর পার্শ্ববর্তী ধূলাসার ইউনিয়নের চর কাউয়া, গঙ্গামতি, লতাচাপলী ইউনিয়নের সব কটি মৌজার মোট ১০ হাজার ২৭৯.৫৮ একর এলাকা জুড়ে বাস্তবায়ন করা হবে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। এছাড়াও কুয়াকাটা পৌরসভার সাড়ে ৩ হাজার একর জমিতে পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়ন করা হবে। মহাপরিকল্পনার কাজ ২০১০-২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু তারপর মাস্টারপ্লানের বাস্তবায়ন দীর্ঘসূত্রিতায় থমকে আছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কুয়াকাটার মহাপরিকল্পনা প্রজ্ঞাপন জারি করে এর বাস্তবায়ন আলোর মুখ না দেখায় অন্ধাকারে রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়ন। কুয়াকাটা হারাচ্ছে তার পর্যটন ঐতিহ্য। এসব কারণে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এরজন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যটন কেন্দ্রের একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নের নামে বছরের পর বছর কুয়াকাটার উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কুয়াকাটার মহাপরিকল্পনা প্রজ্ঞাপন জারি করে শুধু বই আর সিট কাগজে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কোনো উন্নয়ন তো দেখছি না। মাস্টারপ্লান কাগজে কলমে থাকলে কুয়াকাটার উন্নয়ন হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব এসি ল্যান্ড অনুপ দাশ বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ কুয়াকাটার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর