শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাবিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব গৃহীত ডাকসুতে

সিদ্ধান্ত হয়নি রাব্বানীকে নিয়ে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গতকাল ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় সংসদের সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। তবে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভা শুরু হয়। এতে সান্ধ্যকোর্স, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা, গ্রন্থাগার, আবাসন সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক জায়গা। এখানে কোনো ধর্মভিত্তিক, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। তাই এটা যেন কোনোভাবেই কোনো নামে কেউ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবার সজাগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফোরামে যেন এটিকে আইনে পরিণত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, সে বিষয়ে তারা বলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, আমাদের আবাসিক হলগুলোর যে রুমগুলোতে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকে, সেগুলো যাতে গণরুম না থেকে প্রকৃত বন্ধুরুমে পরিণত হয়, সে বিষয়ে ডাকসুর সদস্যরা প্রস্তাব দিয়েছেন। এসব কক্ষে কী কী সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করা যায়, সে বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষবৃন্দ যাতে পদক্ষেপ নেয় এ বিষয়েও তারা বলেছেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাযহারুল কবির শয়ন সভায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অলিখিতভাবে জাতীয় ছাত্রসমাজ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। আজকের সভায় এ বিষয়টি সিদ্ধান্ত আকারে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা আহ্বান জানিয়েছি যেন, ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে একটি ধারা সংযোজন করা হয়। সিনেট, সিন্ডিকেট ইত্যাদিতেও যেন এ সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করা হয়, আমরা সে আহ্বানও জানিয়েছি।

সান্ধ্যকোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে শিক্ষা, এ নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছি, যেন এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী। তার অনুপস্থিতির বিষয়ে সাদ্দাম বলেন, আজকের সভার এজেন্ডায় তার বিষয়টি না থাকায় তাকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি ব্যক্তিগত কারণে সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর