সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
গবেষণায় তথ্য

সাইবারে পর্নো অপরাধ বেড়েছে তিনগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সংঘটিত সাইবার অপরাধগুলোর মধ্যে পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত অপরাধ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাইবার বিষয়ক এক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস (সিসিএ) ফাউন্ডেশন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিক, থিংক ট্যাংক ফর সিকিউরিটি ডিজিটাল বাংলাদেশের আহ্বায়ক সৈয়দ জাহিদ  হোসেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান প্রমুখ। জরিপে বলা হয়, ২০১৮ সালে পরিচালিত জরিপে সংঘটিত অপরাধের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত হয়রানি। ২০১৭ সালে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ লোক হয়রানির শিকার হলেও এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে ভার্চুয়াল জগতে বাংলাদেশের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১১ ধাপে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এগুলো হলো- ৬.৫১ শতাংশ  ফোনে বার্তা পাঠিয়ে হুমকি, কপিরাইট আইন লঙ্ঘন, পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণা, অনলাইনে কাজ করিয়ে নেওয়ার কথা বলে প্রতারণা ইত্যাদি। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ভুক্তভোগী আগের চেয়ে বেড়েছে ১৬.৭৭ শতাংশ। আর ভুক্তভোগীদের ৮০.৬ শতাংশই সাইবার অপরাধের শিকার হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করতে যান না।

মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে অপপ্রচারের ঘটনা কিছুটা কমলেও এখনো তা আশঙ্কাজনক। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশই এই ধরনের অপরাধের শিকার হচ্ছেন। আগের প্রতিবেদনে এই হার ছিল ২৭.০৭ শতাংশ। ছবি বিকৃত করে অনলাইনে অপপ্রচারের ঘটনাও রয়েছে আগের মতোই ১৫.৩৫ শতাংশ। এ ছাড়াও দেশে অলনাইনে ই-কমার্সে প্রতারণার শিকার ৭.৪৪ শতাংশ।

কাজী মুস্তাফিক বলেন, সাইবার অপরাধের প্রবণতা  বেড়েছে। ২০১৮ সালে নতুন চার ধরনের অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। এ ছাড়া ৮০ শতাংশ সাইবার ভুক্তভোগী অভিযোগ আইনের আশ্রয় নিতে আসেননি। জাহিদ হোসেন বলেন, সাইবার আক্রমণ থেকে আমাদের সবারই সচেতন হতে হবে। সোশ্যাল মাধ্যমসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর