ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
এ সময় অধিভুক্তি বাতিল আন্দোলনের মুখপাত্র শাকিল মিয়া বলেন, ঢাকার সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আমরা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। এ বিষয়ে প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নে প্রহসনের আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, সাত কলেজ সমস্যার সমাধান করার আগে যেন তাদের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে দাবি উপেক্ষা করেছে। উল্লেখ্য, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের মুখে গত জুলাই মাসে কয়েক দফা আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্লাসরুমে তালা লাগানোর মতো ঘটনাও ঘটে। পরে ২৪ জুলাই আন্দোলনের মুখে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হলেও পরে আরও ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু কমিটি এখনো সুপারিশ দিতে পারেনি। এর মধ্যেই সাতটি কলেজে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। সাত কলেজের সমস্যার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ৬ অক্টোবর ডাকসুর নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। এরপর নিজেরাও আরও কিছু আলোচনা শেষে সুপারিশসহ একটা প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে উপস্থাপন করব। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে বলে জানান তিনি।
