মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের চেয়ে ব্যয় বেশি বিএনপির

গোলাম রাব্বানী

আওয়ামী লীগের চেয়ে ব্যয় বেশি বিএনপির

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে বিএনপি। ২০১৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যয় হয় ১ কোটি ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৮ টাকা। অন্যদিকে বিএনপি ব্যয় করেছে ১ কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা। নির্বাচনী ব্যয়ের শীর্ষে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় করে বিএনএফ, তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ওয়ার্কার্স পার্টির। সবচেয়ে কম ব্যয় করেছে বিএমএল- মাত্র ২ হাজার টাকা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রত্যেকে ১ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করলেও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ব্যয় মাত্র ৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৬০ টাকা। ইসির প্রকাশিত ব্যয় বিবরণী থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান ও মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ‘নিবন্ধিত দলের ব্যয় বিবরণী’ ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে ইসিতে ৪১টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি দল  ভোটে অংশ নিয়েছে। সব দল এবার ভোটে ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করেছে। এদিকে এলডিপি, বিকল্পধারা, জাসদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, গণফোরাম, জাগপা ও মুক্তিজোট একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে কোনো নির্বাচনী ব্যয় করেনি। স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় শুধু প্রার্থীরাই নিজের ব্যয় সেরেছেন। দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ ব্যয় দেখিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, দলটির ব্যয় ২  কোটি ১৪ লাখ ৮ হাজার ২১২ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় বিএনএফ-এর ১ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যয় বিএনপির ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্যয় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যয়ের তালিকায় রয়েছে দলটি। দলগুলোর মধ্যে সিপিবি ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ৪২০ টাকা, জাতীয় পার্টি ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা, জাতীয় পার্টি-জেপি ১৮ লাখ ২২ হাজার টাকা, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ১০ লাখ ৭ হাজার, সাম্যবাদী দল ৪ লাখ ৩৩ হাজার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ১০ লাখ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ৭০ লাখ ২৪ হাজার এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। এ ছাড়া ৩০ ডিসেম্বরের এ নির্বাচনে গণতন্ত্রী পার্টি ৬ লাখ ৭ হাজার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ১ লাখ ২৬ হাজার, জাকের পার্টি ৬ লাখ, তরিকত ফেডারেশন ১০ লাখ ৬৫ হাজার, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১ লাখ, এনপিপি ২ লাখ ৭৫ হাজার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ১ লাখ ২৮ হাজার, গণফ্রন্ট ১ লাখ ৫০ হাজার, পিডিপি ১ লাখ ২০ হাজার,  বাংলাদেশ ন্যাপ ৪৩ হাজার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ২ লাখ ৫ হাজার, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১ লাখ ৫১ হাজার, কল্যাণ পার্টি ২ লাখ ৪১ হাজার, ইসলামী ঐক্যজোট ৬৪ লাখ ২৪ হাজার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২ লাখ ৬৬ হাজার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১ লাখ ২৫ হাজার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ৩ লাখ ৬১ হাজার ও খেলাফত মজলিস ৫৭ হাজার টাকা ব্যয় করে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব বিবরণী সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হয়। দলীয় নির্বাচনী ব্যয় ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রার্থী অনুপাতে দলগুলোর ৭৫ লাখ টাকা থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা নির্বাচনী ব্যয়ের সুযোগ ছিল। ৫০ জনের কম প্রার্থী হলে ৭৫ লাখ টাকা, ৫০-১০০ প্রার্থী হলে দেড় কোটি টাকা, ১০১-২০০ প্রার্থী হলে ৩ কোটি টাকা এবং ২০১ প্রার্থীর বেশি হলে সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সুযোগ ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর