মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পদত্যাগ করলেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পদত্যাগপত্র জমা দিলেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন। গতকাল দুপুরে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে তা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইউজিসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে ভিসি পদ থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করার পরদিনই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। পদত্যাগপত্র পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ছিল। ইউজিসির তদন্তে এসবের সত্যতা মেলে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিসংক্রান্ত বৈঠকে বসার আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ভিসিকে প্রত্যাহার করতে ইউজিসি প্রতিবেদন দিয়েছে। এখন আইনগতভাবে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’ জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভিসিবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। এ কমিটি রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করে মন্ত্রণালয়ে। প্রতিবেদনে খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে ভিসি পদ থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। এর পরই গতকাল পদত্যাগপত্র জমা দিলেন এই ভিসি।

এদিকে, আমাদের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, এর আগে রবিবার রাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পুলিশ পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন। ভিসির অপসারণের এক দফা দাবিতে ১২ দিন লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আল গালিব। ব্রিফিংয়ের শুরুতে ইউজিসির তদন্ত টিমকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভিসির বহিষ্কার দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ইউজিসির সুপারিশ আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করা হয়। একই সঙ্গে ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ভিসির অপসারণের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবেন বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সানের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপর ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।      

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর