মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

শাস্তির সুপারিশ দুদকের প্রশাসনের পদোন্নতি!

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

কালোবাজারির মাধ্যমে বেশি দামে টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ৭ আগস্ট দুদকের একটি টিম খুলনা রেলস্টেশনে অভিযানে অগ্রিম টিকিট কালোবাজারে বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় ওই কর্মচারীর  বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে। তবে রেলওয়ের (পাকশী) বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তার দাফতরিক আদেশে ওই কর্মচারীকে শাস্তির বদলে বুকিং সহকারী গ্রেড-২ এর স্থলে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই আদেশে ১৭ জন কর্মচারীকে পদোন্নতি দিয়ে নতুন কর্মস্থলে পাঠানো হলেও মেহেদী হাসানকে খুলনা রেলস্টেশনে বহাল রাখা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ১৭ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের (পাকশী) বিভাগীয় সংস্থাপন কার্যালয়ের আরেক আদেশে মেহেদী হাসানকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে বদলি করা হয়। কিন্তু নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে তিনি বদলি আদেশ বাতিলের তদবির করছেন। জানা যায়, মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত। চক্রটি খুলনা-ঢাকা ট্রেনের টিকিট ‘অটো ব্লক’ করে গোপনে বেশি দামে বিক্রি করে। এতে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়েও অগ্রিম টিকিট না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ৭ আগস্ট খুলনা রেলস্টেশনে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের ১৬২টি সিট ‘অটো ব্লক’ অবস্থায় পেয়ে বুকিং সহকারী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে দুদক। কিন্তু এরপরই পদোন্নতির চিঠি আসে। তাকে উচ্চপদে যোগদান করতে দেওয়া হয়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর তার বদলি আদেশের আরেকটি চিঠি আসে। অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসান দিনের পর দিন কর্মস্থলে অবস্থান না করেও সার্ভার রুমের কর্মচারীর মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর