গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের পর চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টায় প্রেস ব্রিফিং করে এ ঘোষণা দেন তারা। টানা ১২ দিন আন্দোলনের মুখে ভিসির পদত্যাগে আজও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দ্রুত নতুন ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে টানা ১২ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে সোমবার দুপুরের পর ভিসি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি পদত্যাগ করায় গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী মো. আল গালিব ভিসির পদত্যাগ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। ভিসির পদত্যাগের খবরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। তারা একে অন্যকে রং মেখে, মিছিল করে আনন্দ করেন। বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়েও উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা। আন্দোলনস্থল ছিল পুরো ফাঁকা। ছিল না কোনো স্লোগান। নতুন ভিসির যোগদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শুধু ভিসির অপসারণ বা পদত্যাগ নয়, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিচার করার পাশাপাশি তার সহযোগীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মনে করেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আন্দোলন স্থগিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
বাকৃবিতে যোগ দিয়েই ছুটিতে গোপালগঞ্জের সেই উপাচার্য : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মো. নাসিরউদ্দিন গতকাল তার পূর্বের কর্মস্থল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) যোগ দিয়েছেন। এর পরপরই তিনি বুধ ও বৃহস্পতিবারের ছুটি নেন। বাকৃবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন বায়োটেকনোলজি বিভাগে পুনরায় যোগ দেওয়ার আবেদন করেন। তার আবেদনপত্রটি প্রশাসন বরাবর পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি দুই দিনের ছুটি চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন। সেটি কৃষি অনুষদের ডিন বরাবর পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ১২ দিনের আন্দোলনের পর সোমবার পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। এর পরদিনই তিনি পূর্বের কর্মস্থল বাকৃবিতে যোগ দিলেন।