শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নব্য আওয়ামী লীগারদের দাপটে হতাশা ত্যাগীদের

বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা নব্য আওয়ামী লীগারদের দাপটে দলের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কতিপয় নেতা-কর্মীর প্রকাশ্য চাঁদাবাজি, ঠিকাদারি, টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসায় দলে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপিকে সভাপতি, রেজাউর রহিম লালকে সহসভাপতি ও সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রথমে আংশিক এবং পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। একাধিক দলীয় নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতা এবং নিজের নির্বাচনী এলাকা ঈশ্বরদীতে অবস্থান করার কারণে সভাপতির দৃশ্যমান দলীয় তৎপরতা নেই। জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সের হাতে। সম্প্রতি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই। ওই দিনই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক পদত্যাগ করেন। পরদিন তিনি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ লাভ করেন। ফলে জেলা ছাত্রলীগের পদ শূন্য হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথম সহসভাপতি ফিরোজ আলী ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে ফিরোজ আলীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে জেলা ছাত্রলীগে দেখা দেয় চরম অসন্তোষ। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, সভাপতি চলে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটি লিখিতভাবে কাউকে দায়িত্ব দেয়নি। প্রথম সহসভাপতি কখনো কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন না। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউর রহিম লাল বলেন, পাবনায় আগের চেয়ে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। দলে কোনো বিরোধ বা কোন্দল নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক বলেন, বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ নবীন-প্রবীণদের নিয়ে একটি সময়োপযোগী কমিটি।

সর্বশেষ খবর