রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অসুর বধে মহারণের আহ্বানে আজ অষ্টমী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অসুর বধে মহারণের আহ্বানে আজ অষ্টমী

গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেবী শক্তির বন্দনা এবং অসুর বধে অশুভ খন্ডনের প্রত্যয়ে আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী পালিত হবে। গতকাল নবপত্রিকা প্রবেশ, সপ্তমী পূজা এবং সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে মহাসপ্তমী পালিত হয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের মধ্য দিয়ে সপ্তামাদি কল্পারম্ভ শুরু হয়। এরপর কয়েক দফায় অঞ্জলি প্রদান করেন উপবাসরত ভক্তরা। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, এই আচারের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কৃষি, খনিজ, বনজ, জলজ, প্রাণিজ ও ভূমি সম্পদ রক্ষার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। সপ্তমী লগ্নে নবপত্রিকা প্রবেশ একটি ‘প্রতীকী’ পূজা। ‘নবপত্রিকা’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ নয়টি গাছের পাতা। এ পূজায় কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান এই নয়টি উদ্ভিদকে পাতাসহ একটি কলাগাছের সঙ্গে একত্র করা হয়। পরে একজোড়া বেলসহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড়ের সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তার কপালে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার দেবীপ্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পূজা করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম ‘কলাবউ’। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অঞ্জলি দিতে আসা রিদিতা ভট্টাচার্য্য বলেন, সপ্তমী পূজার মধ্য দিয়ে মূলত পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা মন্ডপে সন্ধ্যার পর শুরু হয় আরতির ধুম। ধুপতি হাতে ধুনচি নাচে মেতে ওঠেন সবাই। আগমনী গান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জমজমাট হয়ে ওঠে পূজা মন্ডপ। গত রাতে বসুন্ধরা পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় তাকে পূজা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িকতায় বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নজির স্থাপন করেছে। সারা বিশ্বে ধর্ম নিয়ে হানাহানি আছে, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। ধর্মীয় উৎসব সবাই উপভোগ করে।’ সবার প্রতি পরিষ্কার নগরী গড়ার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মন পরিষ্কার রাখতে পারলে নিজের শহরও আমরা পরিষ্কার রাখতে পারব। নিজের দেশটাকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।’ মেয়র মিরপুর ও উত্তরার কয়েকটি পূজামন্ডপও ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি নিজ হাতে পূজামন্ডপগুলোয় পড়ে থাকা কাগজ, প্লাস্টিকের কাপ, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি পরিষ্কার করেন।

সর্বশেষ খবর